Posts

সকল দ্বায় কেন সাধারণ জনগণের কাঁধে?

Image
 মৃত্যু অবধারিত। প্রতিনিয়ত মানুষ মরছে রোগ–শোক বা দুর্ঘটনায়। মৃত্যু হচ্ছে রাস্তাঘাটে, হাসপাতালে কিংবা বাড়িতে বা যুদ্ধের ময়দানে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে জর্জরিত বাংলাদেশ, রোগীর বাড়তি চাপ ও সুরক্ষার প্রশ্নে – ডাক্তার,হাসপাতাল রোগীদের চিকিৎসা দিতে অনিহা প্রকাশ করে- যে কোন অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে গেলে শুরু হয়, ভলিবলের মত ছোড়াছোড়ী – এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল, শেষে –পথে বা গাড়িতেই মৃত্যু – তার উপর অন্যকোন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে বলা হয় আগে করোনা টেস্টের রিপোর্ট আনেন – এই রিপোর্ট আনতে ১০-১৫দিন – এর মাঝেই বিনা চিকিৎসায় যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু – অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত,  প্রতিদিনের মিডিয়াতে একাধিক মর্মান্তিক অপমৃত্যুর খবর, কেউ হাসপাতালের বারান্দায়, কেউ সড়কে, কেউ রিক্সায়, এইদিকে দালাল চক্র মানুষের এই নির্মম কষ্টের দিনে তাদের থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ১৭ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ‘একটা কিডনি রেখে দিয়ে করোনার টেস্ট করাই দিয়েন। তিন-চার মাস ধরে কামাই বন্ধ’- বেসরকারি হাসপাতালের করোনাভাইরাস পরীক্ষার বাড়তি ফি নিয়ে এভাবেই ক

সড়কে আদনান তাসিন সহ সকল হত্যাকাণ্ডের -বিচার চাই

Image
আমার দোয়া আশা আমার অভাগা নিষ্পাপ সন্তান ভালো আছে নিশ্চয় ওপারে- সে ভারি মিষ্টি ভারি আদরের, নিষ্পাপ, পবিত্র ! তাকে নিয়ে এভাবে লিখব, বা তাকে এইভাবে হারাতে হবে ভাবিনি, শূয়র- হায়না  শকুন ঘাতকেরা এইভাবে নিষ্পাপ শিশুকে তাদের চাকায় পীচের রাস্তায় পিষে বর্বর নির্মম ভাবে খুন করবে , সবই যেন স্বপ্ন, হয়ত আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আমি আবার আমার নিষ্পাপ সেই পবিত্র মিষ্টি মুখটি দেখব। কেন জানি প্রতিক্ষণ প্রতি মুহূর্তে মনে হয়, ইস সে যদি আমার সামনে এসে আমাকে আব্বু বলে বুকে জড়িয়ে ধরে, বুকের ভিতরের তীব্র যন্ত্রণার ঢেউ হয়ত একটু শান্ত হত, সড়কে ঘাতকের হাতে প্রান হারিয়ে আমার মত কত মা-বাবা আদরের সন্তান হারিয়ে চোখে মুখে কান্নার রোল, আমার কান্নায় যেন শরীরের সকল রক্ত অশ্রু হয়ে বের হয়ে আসতে চায়, কারন কষ্টে চোখের সকল জল আগেই শুকিয়ে গেছে । তবুও স্বান্তনার জন্যই বেদনা ভুলে থাকার জন্য, কষ্ট গুলোকে চেপে রেখে বিভিন্ন জায়গায় লিখি, কেউ আমার ফরিয়াদ শুনে না, মানুষের এত্ত সময় কৈ এইসব লেখা পড়ার , মানুষের এত্ত সময় কথায় অন্নের কষ্টে সমবেথি হবার,   কি অপরাধ করেছিল আমার নিষ্পাপ সন্তান? যার মি

সন্তানের হত্যার বিচারের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন !!

Image
        বরাবর , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় তেজগাঁ - ঢাকা বিষয়ঃ    মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিনকে সড়কে হত্যার সুবিচারের জন্য আবেদন জনাব , নিবেদন এই যে মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন ( ১৭ ), বারিধারা স্কলার্স থেকে ২০১৮ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ - ৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে , সেন্ট যোসেফ এ একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় । গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ , রোজ সোমবার , প্রায় দুপুর ২টার দিকে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমানবন্দর সড়কে শেওড়া রেলগেট নামক স্থানে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় , তাকে দ্রুতগামী উত্তরা পরিবহনের বাস ঢাকা মেট্রো ব - ১১ ৪৫৮৪ চাপা দিয়ে সড়কে ফেলে চলে যায় , পথচারীরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলে সেখানে তারা সড়কে আহত রোগীর চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বলেন ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যেতে, বনানী এলাকায় গাড়ির তীব্র যানজট – রোগীর অবস্থা আশংখাজনক তাই তাকে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে আনা হয় , কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে ( ইন্নালিল্ল

ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আদনান তাসিনকে হত্যা

Image
মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন সেন্ট যোসেফ কলেজের ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স এর প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল, গত ১১ই ফেব্রুয়ারিতে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমান বন্দর সড়কে শেওড়া বাস ষ্টেন্ডে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে দুরপাল্লার দ্রুত গামী ভ্রাম্মনবাড়িয়ার বাস তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে - ইচ্ছাকৃত ভাবে চাপা দিয়ে চলে যায়, তার পিতা গত ২ বছর যাবৎ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ, তথাপি তার সন্তানের জাষ্টিজ এর জন্যে সবার দ্বারে দ্বারে আহাজারি করছে কিন্তু এখনো বিষয়টি কেউ আমলেই নিচ্ছে না কারন ঘটনা টি আলোচিত হয়নি - ভাইরাল নয়, মিডিয়ায় আসেনি, তার অধ্যায়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রতিবাদ বা আন্দোলন করেনি, সন্তানকে কবরে শূইয়ে এসে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী নিয়ে মানববন্ধন করেন তার পিতা, তার কলেজ সেন্ট জোসেফে তিনি অনেক কষ্ট করে নিজে গিয়েছে, সমর্থন চেয়ে পায়নি, কলেজের শিক্ষার্থীরা ২০১৯ এপ্রিল ১৩ তারিখে প্রতিবাদ করবে বলে ফেইসবুকে একটি ইভেন্ট দেয় কিন্তু সুবিধাভোগী প্রিন্সিপ্যাল ও কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাও বন্ধ করে দেয়, তিনি মেয়র মহোদয় এর সাথে ২

হায়না ঘাতকরা কেড়ে নিলো মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিনকে

Image
সড়কে হত্যা এখন বাংলাদেশের প্রধানা সমস্যা বাংলাদেশ হেলথ ইনজুরি সার্ভে(বিএইচআইএস) শিরোনামে এই জরিপ পরিচালনা করা হয় , তাতে দেখা যায় , প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ১৬৬ জন নিহত হন৷ আর তাতে প্রতিদিন গড়ে নিহতের সংখ্যা ৬৪ জন৷কিন্তু প্রসাসনের কর্তা বেক্তি ও নীতি নির্ধারকদের এই বিষয়ে কন মাথা বেথা নাই।সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে একটি স্লোগান আমাদের নিকট খুবই পরিচিত , তা হচ্ছে- “ নিরাপদ সড়ক চাই ” । কিন্তু নিরাপদ সড়ক তথা সড়কের নিরাপত্তা দিয়ে আমাদের কি লাভ ? সড়কের নিরাপত্তা নয় , আমরা নিজেদের নিরাপত্তা চাই। দুর্ঘটনা থেকে মুক্তিসহ রাস্তা চলাচলের পূর্ণ নিরাপত্তা চাই। রাজধানীর জোয়ার সাহার এলাকায় প্রায় ১৭ বছর ধরে বসবাস করছি আমি আহসান উল্লাহ টুটুল , আমার হীরের টুকরো দুই সন্তান নিয়ে আমার সুখের সংসার , ঐশ্বর্য নেই , অঢেল ধন সম্পদ নেই , বড় বড় অট্টালিকা নেই , কিন্তু আমার সংসারে ছিল , শান্তির বেহেশত , সুখ আর শান্তিতে ভরা , আমার পরিবার , প্রতিরাতেই আমার দুই সন্তানের সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে অনেক আলাপই হত , দুই সন্তানই আমার কাছে বন্ধুর মত , সর্বশেষ ১০ই ফেব্রুয়ারী তে রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে আদরের