Posts

Showing posts from October, 2019

সড়কে আদনান তাসিন সহ সকল হত্যাকাণ্ডের -বিচার চাই

Image
আমার দোয়া আশা আমার অভাগা নিষ্পাপ সন্তান ভালো আছে নিশ্চয় ওপারে- সে ভারি মিষ্টি ভারি আদরের, নিষ্পাপ, পবিত্র ! তাকে নিয়ে এভাবে লিখব, বা তাকে এইভাবে হারাতে হবে ভাবিনি, শূয়র- হায়না  শকুন ঘাতকেরা এইভাবে নিষ্পাপ শিশুকে তাদের চাকায় পীচের রাস্তায় পিষে বর্বর নির্মম ভাবে খুন করবে , সবই যেন স্বপ্ন, হয়ত আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে আমি আবার আমার নিষ্পাপ সেই পবিত্র মিষ্টি মুখটি দেখব। কেন জানি প্রতিক্ষণ প্রতি মুহূর্তে মনে হয়, ইস সে যদি আমার সামনে এসে আমাকে আব্বু বলে বুকে জড়িয়ে ধরে, বুকের ভিতরের তীব্র যন্ত্রণার ঢেউ হয়ত একটু শান্ত হত, সড়কে ঘাতকের হাতে প্রান হারিয়ে আমার মত কত মা-বাবা আদরের সন্তান হারিয়ে চোখে মুখে কান্নার রোল, আমার কান্নায় যেন শরীরের সকল রক্ত অশ্রু হয়ে বের হয়ে আসতে চায়, কারন কষ্টে চোখের সকল জল আগেই শুকিয়ে গেছে । তবুও স্বান্তনার জন্যই বেদনা ভুলে থাকার জন্য, কষ্ট গুলোকে চেপে রেখে বিভিন্ন জায়গায় লিখি, কেউ আমার ফরিয়াদ শুনে না, মানুষের এত্ত সময় কৈ এইসব লেখা পড়ার , মানুষের এত্ত সময় কথায় অন্নের কষ্টে সমবেথি হবার,   কি অপরাধ করেছিল আমার নিষ্পাপ সন্তান? যার মি

সন্তানের হত্যার বিচারের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন !!

Image
        বরাবর , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় তেজগাঁ - ঢাকা বিষয়ঃ    মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিনকে সড়কে হত্যার সুবিচারের জন্য আবেদন জনাব , নিবেদন এই যে মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন ( ১৭ ), বারিধারা স্কলার্স থেকে ২০১৮ সালে ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স থেকে জিপিএ - ৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে , সেন্ট যোসেফ এ একদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় । গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ , রোজ সোমবার , প্রায় দুপুর ২টার দিকে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমানবন্দর সড়কে শেওড়া রেলগেট নামক স্থানে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় , তাকে দ্রুতগামী উত্তরা পরিবহনের বাস ঢাকা মেট্রো ব - ১১ ৪৫৮৪ চাপা দিয়ে সড়কে ফেলে চলে যায় , পথচারীরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় সরকারি কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিলে সেখানে তারা সড়কে আহত রোগীর চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বলেন ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যেতে, বনানী এলাকায় গাড়ির তীব্র যানজট – রোগীর অবস্থা আশংখাজনক তাই তাকে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে আনা হয় , কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে ( ইন্নালিল্ল

ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আদনান তাসিনকে হত্যা

Image
মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন সেন্ট যোসেফ কলেজের ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স এর প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল, গত ১১ই ফেব্রুয়ারিতে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমান বন্দর সড়কে শেওড়া বাস ষ্টেন্ডে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে দুরপাল্লার দ্রুত গামী ভ্রাম্মনবাড়িয়ার বাস তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে - ইচ্ছাকৃত ভাবে চাপা দিয়ে চলে যায়, তার পিতা গত ২ বছর যাবৎ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ, তথাপি তার সন্তানের জাষ্টিজ এর জন্যে সবার দ্বারে দ্বারে আহাজারি করছে কিন্তু এখনো বিষয়টি কেউ আমলেই নিচ্ছে না কারন ঘটনা টি আলোচিত হয়নি - ভাইরাল নয়, মিডিয়ায় আসেনি, তার অধ্যায়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রতিবাদ বা আন্দোলন করেনি, সন্তানকে কবরে শূইয়ে এসে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী নিয়ে মানববন্ধন করেন তার পিতা, তার কলেজ সেন্ট জোসেফে তিনি অনেক কষ্ট করে নিজে গিয়েছে, সমর্থন চেয়ে পায়নি, কলেজের শিক্ষার্থীরা ২০১৯ এপ্রিল ১৩ তারিখে প্রতিবাদ করবে বলে ফেইসবুকে একটি ইভেন্ট দেয় কিন্তু সুবিধাভোগী প্রিন্সিপ্যাল ও কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাও বন্ধ করে দেয়, তিনি মেয়র মহোদয় এর সাথে ২

হায়না ঘাতকরা কেড়ে নিলো মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিনকে

Image
সড়কে হত্যা এখন বাংলাদেশের প্রধানা সমস্যা বাংলাদেশ হেলথ ইনজুরি সার্ভে(বিএইচআইএস) শিরোনামে এই জরিপ পরিচালনা করা হয় , তাতে দেখা যায় , প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ১৬৬ জন নিহত হন৷ আর তাতে প্রতিদিন গড়ে নিহতের সংখ্যা ৬৪ জন৷কিন্তু প্রসাসনের কর্তা বেক্তি ও নীতি নির্ধারকদের এই বিষয়ে কন মাথা বেথা নাই।সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে একটি স্লোগান আমাদের নিকট খুবই পরিচিত , তা হচ্ছে- “ নিরাপদ সড়ক চাই ” । কিন্তু নিরাপদ সড়ক তথা সড়কের নিরাপত্তা দিয়ে আমাদের কি লাভ ? সড়কের নিরাপত্তা নয় , আমরা নিজেদের নিরাপত্তা চাই। দুর্ঘটনা থেকে মুক্তিসহ রাস্তা চলাচলের পূর্ণ নিরাপত্তা চাই। রাজধানীর জোয়ার সাহার এলাকায় প্রায় ১৭ বছর ধরে বসবাস করছি আমি আহসান উল্লাহ টুটুল , আমার হীরের টুকরো দুই সন্তান নিয়ে আমার সুখের সংসার , ঐশ্বর্য নেই , অঢেল ধন সম্পদ নেই , বড় বড় অট্টালিকা নেই , কিন্তু আমার সংসারে ছিল , শান্তির বেহেশত , সুখ আর শান্তিতে ভরা , আমার পরিবার , প্রতিরাতেই আমার দুই সন্তানের সাথে ডাইনিং টেবিলে বসে অনেক আলাপই হত , দুই সন্তানই আমার কাছে বন্ধুর মত , সর্বশেষ ১০ই ফেব্রুয়ারী তে রাতে ডাইনিং টেবিলে বসে আদরের

সড়কে শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যার বিচার ও সড়কে নিরাপত্তার সহ ৫দফা দাবিতে মানববন্ধন

Image
৩০ অগাস্ট সকাল ১০ টায় বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া বাস স্ট্যান্ড ( প্রস্তাবিত ঃ আদনান চত্বরে ) বাসের চাকায় পিষ্ট করে সেন্ট যোসেফ কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আদনান তাসিন কে হত্যার ঘটনায় ঘাতক বাসচালককে আটক ও বিচারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সন্তান-স্বজনহারা অভিভাবক ফোরাম, নিরাপদ সরক আন্দোলন(নিসআ), আদনান তাসিন মঞ্চ ও জোয়ার সাহারা এলাকাবাসির উদ্যোগে “সড়কে শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যার বিচার ও সড়কে নিরাপত্তার সহ ৫দফা” দাবিতে মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধনে প্রশাসনের উদ্দেশে নিম্নোক্ত ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়ঃ ১. সড়কে তাসিন হত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শেওড়ায় বিকল্প নিরাপদ বেবস্থা না করে, ফুটওভার ব্রিজ অপসারণসহ সড়কে মৃত্যুফাঁদ সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি ২. তাসিনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা করতে হবে/তাসিন পরিবারের দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। ৩. শেওড়া বাসস্টান্ডে ফুটওভারব্রিজটি আদনান তাসিনের নাম অনুসারে “আদনান ফুটওভারব্রিজ’ ঘোষণা করতে হবে। ৪.

পড়ে আছে শতাধিক মেডেল, শুধু তাসিন নেই

Image
রাজধানীর জোয়ার সাহারার অলিপাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন আহসান উল্লাহ। স্ত্রী শাহিদা আক্তার ও দুই সন্তান আদনান সামিন ও আদনান তাসিনকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। কিন্তু সুখ ভেঙে খান খান করে দিয়েছে বাসের চাকা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে শেওড়া রেলগেটের সামনে জেব্রাক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় বাসচাপায় নিহত হয় মাত্র কৈশোর পেরোনো ১৬ বছর বয়সী তাসিন। জেব্রাক্রসিংয়ে বাস চাপায় সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি আহসান উল্লাহ। বিচার দাবিতে পর্যন্ত প্রশাসনের ১৬ জায়গায় চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সব গণমাধ্যমের কাছেও আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। তাসিনের বন্ধুরা জানান, ঘটনার দিন উত্তরা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৪৫৮৪) একটি বাস বেলা দুইটার দিকে তাসিনকে চাপা দেয়। বন্ধুরা প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরে বাবা আহসান উল্লাহর সঙ্গে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যান। সেখানে রাত আটটার দিকে তাসিনের মৃত হয়। গত বছর বারিধারা স্কলার্স স্কুল থেকে ইংরেজি ভার্সনে জিপিএ–৫ পেয়েছেন তাসিন। ভর্তি হয়েছিলেন সেন্ট জোসেফ কলেজ। এর আগে পঞ্চম ও অষ

আদনান তাসিন হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

Image
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আদনান তাসিন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর কয়েক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী। সকালে রাজধানীর শেওড়া-নিকুঞ্জ এলাকায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে তারা। কলেজ ছাত্র আদনান তাসিন হত্যার জন্য সিটি কর্পোরেশনের ফুটওভার ব্রিজ সরানোকে দায়ি করেন বিক্ষোভকারীরা। শৃংখলা ফিরে না আসায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে সড়কে। এমনই এক দুর্ঘটনার শিকার রাজধানীর সেন্ট যোসেফ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আদনান তাসিন। গেল ১১ ফেব্রুয়ারি, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রাণ যায় তার। আদনান তাসিন হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিমানবন্দর সড়কের পাশে আয়োজন করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন। আদনান তাসিন নিহতের কারণ হিসেবে ফুটওভার ব্রিজ ভেঙে ফেলাকে দায়ি করেন তার বাবা। আদনান তাসিনের মৃত্যুর জন্য সিটি কর্পোরেশনকে দায়ি করে এর জবাব চান নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা প্রতিবাদ বিক্ষোভ এবং মানববন্ধনে যোগ দেন রাজধানীর গুলশান-নিকুঞ্জ এলাকার কয়েক