মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন সেন্ট যোসেফ কলেজের ইংলিশ ভার্সন সায়েন্স এর প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল, গত ১১ই ফেব্রুয়ারিতে কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে বিমান বন্দর সড়কে শেওড়া বাস ষ্টেন্ডে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হবার সময়ে দুরপাল্লার দ্রুত গামী ভ্রাম্মনবাড়িয়ার বাস তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে ক্রোধের বশবর্তী হয়ে - ইচ্ছাকৃত ভাবে চাপা দিয়ে চলে যায়, তার পিতা গত ২ বছর যাবৎ জিবিএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ, তথাপি তার সন্তানের জাষ্টিজ এর জন্যে সবার দ্বারে দ্বারে আহাজারি করছে কিন্তু এখনো বিষয়টি কেউ আমলেই নিচ্ছে না কারন ঘটনা টি আলোচিত হয়নি - ভাইরাল নয়, মিডিয়ায় আসেনি, তার অধ্যায়নরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রতিবাদ বা আন্দোলন করেনি, সন্তানকে কবরে শূইয়ে এসে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী নিয়ে মানববন্ধন করেন তার পিতা, তার কলেজ সেন্ট জোসেফে তিনি অনেক কষ্ট করে নিজে গিয়েছে, সমর্থন চেয়ে পায়নি, কলেজের শিক্ষার্থীরা ২০১৯ এপ্রিল ১৩ তারিখে প্রতিবাদ করবে বলে ফেইসবুকে একটি ইভেন্ট দেয় কিন্তু সুবিধাভোগী প্রিন্সিপ্যাল ও কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাও বন্ধ করে দেয়, তিনি মেয়র মহোদয় এর সাথে ২ দিন দেখা করে, সেন্ট জোসেফ কলেজের প্রিন্সিপাল ও সে স্কুলে ১৩ বছর পড়েছে বারিধারা স্কলারস’ র প্রিন্সিপালকে তাদের সমর্থন প্রার্থনা করে, সহায়তা, সহানুভূতি পেলনা, বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার হত্যা কান্ডের বিচারের দাবিতে তিনি একাত্বতা প্রকাশ করে-অসুস্থ শরীর নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে রাজপথে নামে, আবরার এর বাবার সাথে ফোনে কথা বলে সহানুভূতি জা্নায়, তার প্রানপ্রিয় আদরের সন্তানের নির্মম হত্যার বিচারে দেশের সকল জনগন, সাংবাদিক, পেশাজীবী সহ সকলের সহযোগিতা প্রার্থনা করে ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন DU, CU, RU, IUB, CUET, BUET, KUET, RUET, DHAKA COLLEGE, TIUMIR COLLEGE, TEJGON COLLEGE, CITI COLLEGE, BUP, NSU, AIUB , GULSHAN COLLEGE, RAMIJUDDIN, DMC, CMC ইত্যাদি সহ দেশের সকল স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীদের সমর্থন, সহানুভূতি, সহায়তা কামনা করে, তিনি তার প্রান প্রিয় সন্তান ফিরে পাবেন না, কিন্তু তিনি এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চান, দিয়া-করিম আন্দোলনের পর পরিবহণের ঘাতকদের মনে শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষোভ, আক্রোশ, ক্রোধের সৃষ্টি হয় - যার ফল শ্রুতিতে তারা বেছে বেছে শিক্ষার্থীদের হত্যার মিশনে নেমেছে, অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে ঢাকার উত্তর সিটি এলাকায় একের পর এক শিক্ষার্থী হত্যা করে, শিশু ফাইজা র হত্যার বিচার হলে, আদনান তাসিন কে হত্যা করতনা, আদনান তাসিনের হত্যার বিচার হলে আবরার কে হত্যা করতনা, আবরার হত্যার বিচার হলে লাবণ্যকে হত্যা করতনা, লাবণ্যর হত্যার বিচার হলে তাঞ্জিলা কে হত্যা করতনা, তাঞ্জিলার হত্যার বিচার হলে আরিফ কে হত্যা করতনা, আরিফের হত্যার বিচার হলে সাব্বির কে হত্যা করতনা, বিচারহীনতা অপরাধিদের উৎসাহিত করে,
তিনি চাননা
#ঘাতকরা তার সন্তানের মত সড়কে আর কারো প্রান কেড়ে নেয়, ঘাতকদের উৎসাহ দিলে তারা আরো বেশি খুন করবে, এমনিতেই তাদের আক্রমণের বেশিরভাগ শিকার শিক্ষার্থী, স্কুল বা কলেজ ড্রেস পরা দেখলেই মনে হয় তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে, এখনও সময় আছে, ওদেরকে থামাতে হবে, তাদের পরবর্তী টার্গেট আপনি বা আপনার আপনজনো হতে পারে !
ঘাতক মুক্ত সড়ক মনপ্রাণে ধারণ এবং খুনি ঘাতক হায়নাদের বিরুদ্ধে যদি আপনি শক্ত অবস্থানে থাকেন তাহলে যুক্ত হোন এবং ছড়িয়ে দিন প্রতিবাদের বার্তা আর আওয়াজ তুলুন একই স্লোগানে: "সড়কে জীবনের নিরাপত্তা চাই"
১১ই ফেব্রুয়ারি সড়ক হত্যা দিবস
Comments