পড়ে আছে শতাধিক মেডেল, শুধু তাসিন নেই
রাজধানীর জোয়ার সাহারার অলিপাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস
করেন আহসান উল্লাহ। স্ত্রী শাহিদা আক্তার ও দুই সন্তান আদনান সামিন ও আদনান
তাসিনকে নিয়ে ছিল সুখের সংসার। কিন্তু সুখ ভেঙে খান খান করে দিয়েছে বাসের
চাকা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে শেওড়া রেলগেটের সামনে
জেব্রাক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় বাসচাপায় নিহত হয় মাত্র কৈশোর পেরোনো ১৬
বছর বয়সী তাসিন।
জেব্রাক্রসিংয়ে বাস চাপায় সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি আহসান উল্লাহ। বিচার দাবিতে পর্যন্ত প্রশাসনের ১৬ জায়গায় চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সব গণমাধ্যমের কাছেও আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি।
তাসিনের বন্ধুরা জানান, ঘটনার দিন উত্তরা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৪৫৮৪) একটি বাস বেলা দুইটার দিকে তাসিনকে চাপা দেয়। বন্ধুরা প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরে বাবা আহসান উল্লাহর সঙ্গে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যান। সেখানে রাত আটটার দিকে তাসিনের মৃত হয়।
গত বছর বারিধারা স্কলার্স স্কুল থেকে ইংরেজি ভার্সনে জিপিএ–৫ পেয়েছেন তাসিন। ভর্তি হয়েছিলেন সেন্ট জোসেফ কলেজ। এর আগে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতেও জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন তাসিন।
আহসান উল্লাহ বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে তাসিনও অংশ নিয়েছিল। মৃত্যুর আগের দিন রাতে দুর্ঘটনার একটি নিউজ পড়তে পড়তে ছেলে বলেছিল, বাবা, আজকাল সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। আর পরদিনই আমার ছেলেই এর শিকার হলো।’
জেব্রাক্রসিংয়ে বাস চাপায় সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি আহসান উল্লাহ। বিচার দাবিতে পর্যন্ত প্রশাসনের ১৬ জায়গায় চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। সব গণমাধ্যমের কাছেও আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি।
তাসিনের বন্ধুরা জানান, ঘটনার দিন উত্তরা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১১-৪৫৮৪) একটি বাস বেলা দুইটার দিকে তাসিনকে চাপা দেয়। বন্ধুরা প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরে বাবা আহসান উল্লাহর সঙ্গে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যান। সেখানে রাত আটটার দিকে তাসিনের মৃত হয়।
গত বছর বারিধারা স্কলার্স স্কুল থেকে ইংরেজি ভার্সনে জিপিএ–৫ পেয়েছেন তাসিন। ভর্তি হয়েছিলেন সেন্ট জোসেফ কলেজ। এর আগে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতেও জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন তাসিন।
আহসান উল্লাহ বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে তাসিনও অংশ নিয়েছিল। মৃত্যুর আগের দিন রাতে দুর্ঘটনার একটি নিউজ পড়তে পড়তে ছেলে বলেছিল, বাবা, আজকাল সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। আর পরদিনই আমার ছেলেই এর শিকার হলো।’
আহসান উল্লাহ বলেন, আবরার যেদিন নিহত হন, সেদিন তিনি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেদিন তাসিনের ঘটনা বলেছিলাম। উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এসে আবরারের নামে পদচারী–সেতু করার ঘোষণা দিলেন। তিনি তাঁকে গিয়ে তাঁর ছেলের কথাও বললেন। মেয়র তাঁকে বললেন, ‘এখন কি এটা বলার সময়, আপনি অফিসে আসুন, কথা বলব।’ কিন্তু এরপর অনেক চেষ্টা করেও মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
খিলক্ষেত থানায় তাসিনের বাবা মামলা করেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। মামলার তদায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাখখারুল ইসলামের কাছে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পরে জানাবেন বলে জানান। পরে ফোন করা হলে ফোন বন্ধ করে দেন।
আহসান উল্লাহ জানান, মেধাবী দুই ছেলের কখনো অন্য কোনো শিক্ষক বা প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হয়নি। সব সময় গর্ব করে বলতাম, আমার দুই ছেলে আমার অ্যাসেট (সম্পদ)। কতজন যে বলতেন, এক বাসায় এমন মেধাবী দুই ভাই! সামিন তো পড়ালেখায় কখনো প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি। আর তাসিন প্রথম না হলেও প্রথম দিকেই থাকত। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক-সামাজিক-শিক্ষামূলক সব কর্মকাণ্ডে ও অংশ নিত। ঘরভর্তি ওর পুরস্কার। শতাধিক মেডেল, ট্রফি ও সনদ রয়েছে।
Comments